জিলহজ্জ মাসের রোজা রাখার নিয়ম কি | জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল ও ফজিলত
জিলহজ্জ মাসের রোজা রাখার নিয়ম কি, জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল ও ফজিলত সহ ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে এই ব্লগে তথ্য প্রদান করা হবে। সুতরাং, আপনারা যারা জিলহজ্জ মাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে আগ্রহী তারা সম্পূর্ণ ব্লগটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
জিলহজ্জ মাসের রোজা রাখার নিয়ম কি?
জিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখে অর্থাৎ আরাফার দিন রোজা রাখা হলো সুন্নাত। কিন্তু প্রথম থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত সবগুলো দিনে রোজা রাখা কোন কোন ওলামা একরাম মুস্তাহাব বলেছেন।
কারণ কোন হাদিস থেকে নয় দিনের প্রত্যেকটা দিন রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে যদিও সে হাদিস গুলো সবগুলোই জয়ীফ, কোনটাই বিশুদ্ধ ভাবে প্রমাণিত নয়। তারপরও আপনি জিলহজ্জের প্রত্যেকটা দিনই নকল রোজার দিকে অগ্রসর হতে পারেন।
জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল ও ফজিলত
জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিন বেশি থেকে বেশি নেক আমল এবং ভালো কাজ করার চেষ্টা করবেন। এই ১০ দিনে সাধারণ নেক আমলগুলো বেশি বেশি করতে হবে। জিলহজ্জ মাসে বেশি বেশি আল্লাহর জিকির করতে হবে। তাকবির, তাহলিল বেশি বেশি করে পাঠ করবেন।
জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ যাদের সামর্থ্য আছে তারা অবশ্যই কোরবানি করবেন। যারা কোরবানি করবেন তারা নক, চুল এগুলো কাটবেন না জিলহজ্জ মাসের ১০ দিন। যাদের হজ্জ করার সমর্থতার অবশ্যই হজ্জ করবেন।
জিলহজ্জ ৯ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত পর্যন্ত প্রত্যেক নামাজের পরে তাকবির নারী-পুরুষ সবাই পাঠ করবেন। আর এই ১০ দিনের মধ্যে আরাফার দিনে রোজা রাখবেন, সম্ভব হলে প্রথম ৯ দিনেও রোজা রাখবেন।
জিলহজ্জ মাসের কত তারিখ কোরবানির ঈদ
ইসলামিক বিধান অনুসারে জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখে কোরবানির ঈদ বা ঈদুল আজহা পালিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ, জিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার দশমতম দিনে ঈদুল আযহা পালিত হয়। জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখের আগের দিন হলো; আরাফার দিন। এবং হিজরি ৯ জিলহজ্জ আরাফার পরের দিন ১০ জিলহজ্জ পালিত হয় পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ।
সর্বশেষ কথা
আজকের আর্টিকেলে জিলহজ্জ মাসের রোজা রাখার নিয়ম কি, জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল ও ফজিলত সহ ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে তবে, এটি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন।